মানবসভ্যতার অধঃপতন
: সভ্যতার নামে মানুষের এই অধঃপতনের কারণ কি?
: কারণ আমরা মানুষেরাই। মানুষেরা নিজেদের নিজ নিজ স্বার্থে সভ্যতার নামে পৃথিবীতে নিয়ম এবং পরিবর্তন এনে এসেছে এবং প্রকৃতির তাগিদে এরপর ঐ নির্দিষ্ট মানুষ যে এই পরিবর্তন এনেছিলো যুগে যুগে সে মারা যায়। মূলত সে পরিবর্তন এনেছিলো তার প্রয়োজন অনুযায়ীই, অন্যদের প্রয়োজন অনুযায়ী না। আর সে মারা যাওয়ার পর এটা অন্যদের জন্যে উপকারের চেয়ে বেশি অধঃপতনই ডেকে আনে। এভাবেই মানবসভ্যতা সভ্যতার নামে অধঃপতনেই ধাবিত হয় মূলত। যতদিন না মানুষ নিরপেক্ষ সভ্যতার আবিষ্কার করতে পারবে, যতোই সভ্য পরিচয় দিক তারা নিজেদের, সভ্য হওয়া সম্ভব না।
ব্যবধান
যে অধ্যায়টা আমার কাছে স্বর্গীয় ছিলো, তোমার কাছে ছিলো উপন্যাসের খসড়া পাতা। অপ্রয়োজনীয় খসড়া ভেবে তুমি যা সহজেই ভুলে গেছো, আমার গোটা জীবন সেখানেই আটকে আছে।
প্রয়োজন শেষে ছাই
বিশ্বাসের বিনিময়ে যেখানেই নিজেকে দিয়েছি বন্ধক।
সমমূল্য পেলাম না কোথাও,
ব্যবহার করলো আমাকে সবাই বিনিময় রেখে বাকি।
তবুও বেলা শেষে আমিই যেন অপ্রয়োজনীয় ছাই,
বাকি সবাই অমূল্য রত্নের সিন্ধুক।
ছলনার থাবা
যেই না বুঝলি ভালোবাসি, হয়ে গেছিস দিলের খোরাক,
‘সুখহীন আমি’ আখ্যা দিয়ে ছলনার থাবায় দিলি ফেলে।
এরপর বন্ধ করে দিলি আমার জন্য তোর দ্বোর।
ছলছলে আঁখি, কাঁপা গলাও ফেরাতে পারে নি তোকে,
আমার জন্য আর হলো না যে মায়া তোর।
বুঝতে চাইলি না,
তোর অভাবে রাত্রিগুলো কাটে অনিদ্রায়,
ঘুম চোখে একঘেয়ে কাটে আমার প্রত্যেকটা ভোর।
স্বীয় সুখের খোঁজে
সুখ যুগলের গন্তব্য পরিবর্তন হয়েছে আজ,
তাই ভিন্ন পথে যাচ্ছি হেঁটে,
পেতে স্বীয় সুখ, যাচ্ছি দেখো খোঁজে অজানার।
অথচ হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম,
সুখ ভাগাভাগি করে রবো একসাথে,
ঝড়-তুফান উপেক্ষা করে হবো আমরা দুজন দুজনার।