অবুঝ মন
তোমার মনকে জিজ্ঞেস করো খোবায়েব,
কার জন্যে সে বরং কাঁদে?
বুঝাও তোমার অবুঝ মনকে, সে যার জন্যে কাঁদে,
আল্লাহর দুনিয়ায় সে মানুষটিই তাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করেছে,
তোমাকে ফাঁসিয়ে মায়ার ফাঁদে।
ভুল ব্যয়
অথচ আমরা মানুষেরা জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট করে ফেলি অন্যের সফলতাকে হিংসা করতে করতেই। অন্যেরা কে কি করেছে, কেন আর কিভাবেই বা করেছে এইসব দেখে দেখেই ব্যয় করে ফেলি আমাদের সুন্দর জীবন। দিনশেষে আফসোস করি, আমার কেন হলো না? আমার ভাগ্যে কেন ছিলো না? আমাকে উপরওয়ালা কেন দিলো না? অথচ যে সময়টা আমাদের নিজেদের কর্মে ব্যয় করার কথা ছিলো, তা ব্যয় করেছিলাম অন্যকে হিংসা করে করেই।
শত্রু
ঠকানোতেই যদি শত্রু নির্ধারণ করা হয় তবে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু সে নিজেই। নিজের অভয় ছাড়া, সাহায্য ছাড়া কেউ কাউকে ঠকাতে পারে না। তাছাড়া মানুষেরা অন্যকে খুশি করতে যেয়ে নিজেই নিজেকে সবচেয়ে বেশি বাজেভাবে ঠকায়। অতএব নিজেকে ব্যতিত মানুষের আর কোন বড় শত্রু হয় না, হতে পারেও না।
কিভাবে বাঁচে
যে তোমাকে স্মরণ করেছিলো তার প্রতিটি নিঃশ্বাসে,
যে তোমাকে খুঁজেছিলো দমকা-ঝড়ের রাতে,
যে চেয়েছিলো তোমার সঙ্গ প্রচন্ড মন খারাপে,
কিংবা যে রেখেছিলো তোমাকে প্রভুর কাছে আর্জিতে,
তবুও তোমাকে পাওয়া হলো না তার।
কখনো কি ভেবেছো নক্ষত্র,
সে অন্তঃসারশূন্য মানব আজ কোথায়, কিভাবে আছে?
তোমাকে ছাড়া সে অধম আজ একা কিভাবেই বা বাঁচে?
দায় কার
এই একাকী রজনীতে স্মৃতি পুষে যাই যার,
ভাবি, সে হলো না কেন আমার?
আমিই বা হতে পারি নি কেন তার?
কেন এ হৃদয়ে অসীম একাকীত্ব বিরাজমান আজ?
তোমাকে পোষা এ হৃদয় কেন আলোর আভাস পেতে ব্যর্থ?
কেন এ হৃদয়ে আজ জন্মালো বলো অনন্ত এই অন্ধকার?
শুনেছি, নিয়তিকে দোষ দেওয়া বারণ আছে,
তবে বলো, এই দগ্ধ, পথভ্রষ্ট হৃদয়ের দায় কার?