পরবাসী মন

জ্যান্ত লাশ


আত্মার মৃত্যু বহু আগেই হয়ে গেছে মোর,
শ্বাস নেওয়া জ্যান্ত লাশ হয়ে পড়ে আছি কেবল ধরায়।
ধৈর্য ধরো হে পরিজন, প্রাণও বেরিয়ে যাবে অতিদ্রুত,
বন্ধ হয়ে যাবে জেনে নিও নিঃশ্বাস।
সঙ্গ চেয়ে বিরক্ত করা সে মানুষটিও হয়ে যাবে চুপ,
ভেঙেছো নির্মমভাবে যে মানুষটিকে দিয়ে দিয়ে আশ্বাস।
আটকাটে পারবে না সেদিন, দুনিয়ার কোন মোহের বেড়ায়।
দাফন করে দিও দগ্ধ দেহ মোর,
ঐ যে বাড়ির পাশের শিমুলতলায়।



মায়ার চক্রবুহ্য


স্বেচ্ছায় মায়ার সে চক্রবুহ্যেই ধরা দিয়েছিলাম,
যে ফাঁদে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই।
অতঃপর হেরে যাওয়া নিয়ে আফসোস মানায় না,
মানায় না বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে আক্ষেপ,
তা সে ঘাতক হোক যতোই আপন মানুষ।



পরবাসী মন


তোর তো পরবাসী মন খোবায়েব।
যার অভাবে তোর পরবাসী মন আলোক শূন্য,
যার মায়ায় ডুবে ধ্বংস হচ্ছে দিবানিশি।
সে কি তোর খোঁজ রাখে রে?
পূর্ণতায় বাস করা সে এক আলোকিত নক্ষত্র,
ধ্বংস করে তোর দেহ-মন,
মনের খোঁজ না রেখেও দিব্যি দেয় তৃপ্তির হাসি।



বোবা সাজা


চুপ কি আর মানুষ হয় সাধে?
যখন অনুভূতিরা মূল্য পায় না, হতে হয় অব্যক্ত!
বলতে যেয়েও মুখ আটকে যায়,
গলা অব্ধি চলে আসা কথাও পেটে নেমে যায়,
মন পড়ে থাকে,
আমার বলা কথায় অন্যের কষ্ট হতে পারে এই ফাঁদে,
তখন মানুষ বলতে যেয়েও বোবা সাজে।



ভাঙার অজুহাত


তার তো কেবল আমাকে ভাঙার একটা অজুহাতেরই প্রয়োজন ছিলো। আর আমিও বলেছিলাম, এ হৃদয়ে শুধু তোমারই রাজত্ব, তুমি ছাড়া এ হৃদয়ে আর কেউ নেই। অতঃপর সে সত্যতা যাচাইয়ের নামে ভেঙে দেখলো আমার হৃদয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন