গুরুত্ব

আমি পাহাড়কে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম,
শুনেছি সে পাথর, তাই ফিরে এলাম।
আমি ভালোবাসতে চেয়েছিলাম সমুদ্র,
সে তার তীরে আসা সবাইকেই খুশি করে।
কিন্তু আমার ভাগে নেওয়া ভালোবাসা পছন্দ নয়,
তাই এ প্রেম হলো শুরুতেই সমাপ্ত।
ভালোবাসতে চেয়েছিলাম চাঁদ,
শুনেছি তারও কলঙ্ক আছে।
প্রেমের শুরুতেই যার রটে যায় কলঙ্ক,
তারে কি আর ভালোবাসা যায়?
তাই আর এগুতে পারি নি, দিলাম তাকেও বাদ।

সবশেষে ভালোবাসলাম যাকে, সেখানেও পাই নি গুরুত্ব।
চাকুরী করে জীবন করি পার,
এ ছাড়া আর মেটাবোই বা কিভাবে জীবনের সব দেনা-ধার?
সপ্তাহ শেষে একটি দিনই পেতাম নিজের মতো কাটাবার,
সেদিনও পাই নি প্রেমিকাকে, দেখে নি এ প্রেমিকের হাহাকার।
সে তো চাঁদের মতো, ছিলো না প্রেমের অভাব।
ছিলো সে পাহাড়ের মতো পাথর,
তার ছিলো দুঃখ দেবারও স্বভাব।
সমুদ্রের মতো ছিলো বিশাল মন তার,
ভালোবাসা ছিলো সবার জন্য,
যেন সে জন্মেছেই নিয়ে হবার ক্ষমতা একসাথে জনতার।

ভিক্ষুকের মতো বুঝাতাম তাকে,
তোমার নিজের জন্য তোমার হয়তো আছে প্রত্যেকটা দিনই।
দেখো, আমি তো অন্যের চাকর, চাকুরী করে খাই।
একটা দিন আমাকে দিলে কি হতো তোমার, করতাম বিনয়।
লাভ হবে কি? তার তো আর আমার মতো ছিলো না প্রেমের অভাব।
আমার সাপ্তাহিক ছুটি কেটে পরদিনও,
তাকে ভালোবাসার মতো অনেকেই থাকবে আমি না থাকলেও,
এমনিতেও তার তো আছেই একজনের পর একজনকে ভালোবাসার স্বভাব।

বুঝলাম পৃথিবী সবার জন্য সমান নয়।
একদিকে খোদা কাউকে করে পূর্ণতাময়,
অন্যদিকে কেউ হয় তারই অভাবে ক্ষয়।
গুরুত্বের অভাবে রেখে মারলো যে,
সে কিভাবে জানবে, গুরুত্বহীনতার কেমন অনুভব হয়?


কবিতাঃ গুরুত্ব
- খোবায়েব হুসাইন

إرسال تعليق

أحدث أقدم