আমাকে বলা হলো,
মানুষ হও, যাও পাঠশালায়, এই যে নাও পাঠ্যবই।
অবাক হয়ে প্রশ্ন এল মনে,
তবে কে আমি? মানুষ কি আমি নই?
শৈশব আর কৈশোর কেটেছে মানুষ হওয়ার চেষ্টায়,
কিন্তু দেখলাম তারাও মানুষ নয়,
নিজেকে ব্যয় করে কেবল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্নদ্রষ্টায়।
আরও বিস্ময় হলাম,
আমাকে মানুষ হওয়ার উপদেশে পাঠশালায় পাঠালো যারা,
মানুষ তারাও নয়, সুশিক্ষিত অমানুষ ছিলো তারা।
জিজ্ঞেস করলাম নিজেকে,
তবে এই নামধারী সুশীল সমাজ কেন এত পাঠশালায় ভরা?
যেখানে মানুষ রূপে অমানুষই বেশি,
ভালো মানুষ বিরল, যেন চৈত্রের শুষ্ক খরা।
প্রশিক্ষণই যদি মানুষ গড়তে পারতো,
তবে অমানুষ কেন এতো ভুবনে?
যাদের ভয় নেই মানুষ ঠকানোতে, নেই ভয় যেন মরণে।
অমানুষ গড়ার নেই কোনো পাঠশালা, নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিকতা,
যতোটা থাকে মানুষ বানানোর চেষ্টায়।
মানুষ হওয়া যায় কেবল তখনই,
যদি মনুষ্যত্ব থাকে তার ইচ্ছায়।
মেনে নাও অবশেষে,
পাঠশালার শিক্ষার চেয়ে মনের দীক্ষাই বড়,
অতএব উঁচু সনদ না বানিয়ে, সুন্দর মন গড়ো।