আমি মেনে নিয়েছি তোমার প্রস্থান,
গেয়ে যাচ্ছি অতঃপর অবিরাম সবুরের জয়গান।
আমি মেনেছি এই ভেবে,
যে উদ্যানে তুমি প্রস্ফুটিত হয়েছিলে স্বর্গীয় ফুল হয়ে,
সে উদ্যানে ছিলো না কোনো তত্ত্বাবধায়ক মালি।
আমি মেনেছি বরং ভেবে,
যে রাত্রে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছিলো মেঘে,
তুমি সে রাতে দৃশ্যমান এক টুকরো চাঁদ-ফালি।
আমি ভেবেছিলাম,
উদ্যানের প্রস্ফুটিত ফুল তো যেকেউ সহজেই কুড়িয়ে নিতে পারে,
ভেবেছিলাম, আকাশের চাঁদও তো যেকেউ অবাধে দেখতেই পারে।
কিন্তু কুড়িয়ে নেওয়ার ক্ষণে সেদিন মালি এল সামনে দাঁড়িয়ে,
আর তোমায় আড়াল করতে মেঘের দল ছুটে এলো সেদিন অতিরিক্ত আগ বাড়িয়ে।
সে কারণেই তোমাকে কুড়িয়ে নেওয়া হলো না,
পূর্ণরাত্রি প্রতীক্ষার পরও মেঘের আড়াল ভেদ করে তুমি আর বেরিয়ে এলে না।
আমি তাই এভাবেই নিজেকে স্থির করেছি,
তুমি অন্য কারো ফুল, মেঘেদের রানি,
মানুষের জন্যে তোমার কি কখনো প্রেম জন্মাতে পারে?
তাই তোমায় হলো না পাওয়া,
হলো না তোমার-আমার মিলন।
আর আমার সঙ্গী হলো আজ শুধু সবুর,
আমি তাই গেয়ে চলেছি এভাবেই সবুরের কীর্তন।
ধরনীর বুকে যা যা না পাওয়া যায়, কিংবা হারায়,
শুনেছি সবুরই নাকি সর্বশেষ পন্থা।
এছাড়া আর আছেই বা কি যা না পাওয়ার বেদনা সামলায়?
তোমার জানামতে আছে কি আর কোন আস্থা?
- সবুর
Tags:
poem