কবিতাঃ প্রশ্নবোধক ৩

আচ্ছা, বাদ দাও সে সব অলৌকিক কিচ্ছা-কাহিনী।
ধরো কেউ বললো,
তুমি কথা বললে তার হৃদয়ে তা বাজে সুরে সুরে,
তুমি কি তবে বলবে না কিছু, বলো রমণী?
কেউ বললো,
তুমি হাসলে সে আর চাঁদের দিকে তাকায় না,
ভয় হয়, যদি তোমার হাসি দেখার সুযোগ হারিয়ে ফেলে।
তুমি কি তবু হাসবে না, বলো সুন্দরী?
আর যদি কেউ বলে,
তোমার বুকে মাথা রাখলে সে ভুলে যায় সমস্ত দুঃখের ভার,
তুমি কি দেবে না সেই অবকাশ, হৃদয়হরণী?

ধরো কেউ তোমায় চায় এমনই তীব্রতায়,
যেমন ক্ষুধার্ত অনাথ খোঁজে এক থালা ভাত,
অথবা যেমন দাঁতহীনের কাছে প্রিয় একখানি দাঁত।
যেমন তৃষ্ণার্ত চায় জলের স্পর্শের পরিতৃপ্তি,
তেমন কেউ চায় তোমার স্পর্শ, ধরতে তোমার হাত।
তুমি কি ফিরিয়ে দেবে তার আর্ত আরাধনা, সমস্ত ফরিয়াদ?

ধরো কেউ তোমায় খোঁজে তার মন খারাপের দিনে,
বললো, বড্ড অসুখে থাকে সে তুমি বিনে।
বললো, তুমিই একমাত্র বাসিন্দা,
তোমারই আধিপত্য চলে সেখানে,
তার হৃদয়ে বানিয়েছে সে বিরাট প্রেম-প্রাসাদ,
হৃদয় তার মস্ত মফস্বল।
ধরো আরও বললো,
এই নিঠুর পৃথিবী থেকে পায় সে যতো ব্যথা,
শুধু তোমার ভালোবাসাতেই মেলে তার নিরাময়।
কিংবা বললো,
নিজের বলতে তুমিই আজ তার একমাত্র সম্বল।
তুমি কি তবু তাকে ফিরিয়ে দিবে?
নাকি তার একান্ত আপনজন হয়ে বাকিটা জীবন তবে রবে?


- প্রশ্নবোধক ৩

- খোবায়েব হুসাইন

إرسال تعليق

أحدث أقدم