আমি দেখেছি তোমার পুষ্পসদৃশ দুটি আঁখি চঞ্চল,
যেথায় করে পুরো মহাবিশ্ব বিস্তর।
আমি বুঝেছি তোমার দূরে যাবার অজুহাত যত,
ভেঙে দিয়ে প্রেম-মায়ার বেড়া।
কিন্তু আমার বেলায় অজুহাতও অজুহাত খুঁজে,
করে শুধুই তোমায় কাছে পাবার পায়তারা।
আমি দেখেছি তোমার মসৃণ চুলের অপরূপ বাহার,
যার সুগন্ধে গোপনে ঝরে পড়ে নীরব অশ্রু-ধারা।
আমি নিঃস্ব হয়েছি তোমার অনুপস্থিতির ভারে,
যেন প্রেমিকার চুমু প্রেমিকের বেঁচে থাকার আহার।
তবুও তুমি কেনো খোঁজো পালাবার ফুরসত?
আমি বলি, থেকে যাও, করো না প্রেম প্রত্যাহার।
আমি দেখেছি তোমার গোলাপ-পাপড়ি সদৃশ রক্তিম ঠোঁট,
যেখানে আকাঙ্ক্ষার ভাষা লুকিয়ে থাকে নীরব অনুচ্চারিত রূপে।
আমি উল্লাস করেছি তোমায় আমার ভেবে,
যেমন ক্ষুধার্ত পথিক হঠাৎ উল্লাসে মাতে পথে কুড়িয়ে পেলে টাকার নোট।
চলে যেও না, থেকো হয়ে আমার কাঙ্ক্ষিত প্রেমিকা।
যেন দহনময় দিনেও তোমায় পাই পাশে,
হোক আমাদের দু’একটা বিষণ্নতার গল্পও,
আর নির্বিঘ্নে বলতে পারি, ভালোবাসি।
এতো ভালো বেসো আমায়, যেন মনে হয়,
আমি বারবার জন্মাই আর তোমাতে ফিরে ফিরে আসি।