তোমায় হারিয়ে কি পেলাম অবশেষে?
পেলাম রবের নূর, মিথ্যে মোহের মুক্তির বেশে।
ফানার আঁধারে রইলাম বন্ধ,
ইশ্কের মায়া করেছিলে আমাকে অন্ধ।
পেলাম রবের নূর, মিথ্যে মোহের মুক্তির বেশে।
ফানার আঁধারে রইলাম বন্ধ,
ইশ্কের মায়া করেছিলে আমাকে অন্ধ।
তুমি ছিলে দুনিয়ার ক্ষণিক মরীচিকা,
ভুলে গিয়েছিলাম ক্ষনিকের মোহে,
কে সৃষ্টি করেছিলো আমাকে, কে'ই বা এই বিশাল আরশের মালিকা।
তোমারই প্রেমে হয়েছিলাম আমি গাফেল,
ভুলে গিয়েছিলাম রবের প্রেম,
তাঁর আমাকে সুপথে পথ দেখানো নাজিলকৃত যত কিতাবেল।
মনে পড়ে আজও আমার সেদিন,
তোমার দেওয়া ব্যথায় আমি স্বয়ং রবের দিকেই আঙুল তুলে বলেছিলাম যেদিন,
“দিলে কেন এ প্রেম, যদি না লিখো তার সাথে আমার সুদিন?”
সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার বিরুদ্ধে দাঁড়ালাম!
দেখো, কি দূর্বল ছিলো আমার ঈমান,
কতো দূর্বল ছিলো এই নাস্তিকের ধর্ম-দ্বীন।
দেখো, কি দূর্বল ছিলো আমার ঈমান,
কতো দূর্বল ছিলো এই নাস্তিকের ধর্ম-দ্বীন।
তাই খোদা সরিয়ে নিলেন তোমার ছায়া,
বুঝালেন তিনিই সত্য, ভেঙে দিলেন মোহের মায়া।
সিজদার মাটিতে ভিজলো ক্লান্ত নয়ন,
রুহে জ্বলে উঠল অতঃপর ঈমানের শিখন।
রাতের অন্ধকারে উঠলো যখন মুক্তির আহ্বান,
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” হলো ভাঙা হৃদয়ের ফের প্রাণ।
অশ্রুর প্রতিটি বিন্দু রূপ নিলো হয়ে দোয়া,
দিল পেল আবার কাঙ্খিত সে রবের হিদায়া।
তুমি হারালে, পেলাম রুহের আলো।
মুক্তির ফানায় রব দিলো সব,
যা কিছু আমার জন্যে ছিলো ভালো।
তুমি ছিলে পরীক্ষা মাত্র, অথচ তিনি তো স্বয়ং মুক্তির দিশা।
তাঁকেই খুঁজে পেলাম, অতঃপর পেলাম সে সুখ,
আত্মার থাকে যে সুখের নিশা।
তুমি ছিলে পরীক্ষা মাত্র, অথচ তিনি তো স্বয়ং মুক্তির দিশা।
তাঁকেই খুঁজে পেলাম, অতঃপর পেলাম সে সুখ,
আত্মার থাকে যে সুখের নিশা।
আজ আমি জানি,
খোদা দিয়েও কেন ফিরিয়ে নেন,
আদতে এটা নয় কোন ভুল।
এ যেন বুঝান তিনি,
আমাকে ছেড়ে যেথায় যাবে, পাবে না আর কোন কূল।
ইশ্কের প্রেম বানায় প্রেমিককে নাস্তিক,
অথচ রবের প্রেমেই লুকানো আস্তিক।
এ যেন বুঝান তিনি,
আমাকে ছেড়ে যেথায় যাবে, পাবে না আর কোন কূল।
ইশ্কের প্রেম বানায় প্রেমিককে নাস্তিক,
অথচ রবের প্রেমেই লুকানো আস্তিক।