কবিতা: পুনর্জন্ম

ঘুম ভাঙলো, দেখলাম পাশে তুমি আছো শুয়ে।
অপলক দৃষ্টিতে দেখলাম তাকিয়ে তোমাকে নুয়ে নুয়ে।
চোখ খুলে তুমি হাসলে দেখে আমায়,
দেখলাম, এ কি কোন স্বপ্ন তবে?
কিংবা বাস্তব, কি লিখা ছিলো আমাদের গতকালকের কাবিননামায়?
না স্বপ্ন নয়, সত্যিই ছিলো তবে পুরোটা।
তবে অবশেষে পেলোই গল্পটা পূর্ণতা।
আমার খুশি আজ দেখে কে এবার?
যা কিছু হারিয়ে পেলাম তোমাকে,
আসে কি যায় তাতে আর?

দ্বিতীয়বার চোখ খুললাম, পাশে দেখি নি তোমায় আর।
খানিক আগেও তো ছিলে পাশে,
এখন গেলে কোথায় তুমি আবার?
উঠে খুঁজতে লাগলাম তোমাকে চারদিকে।
খুঁজে পাচ্ছি না কোথাও তোমায়,
একটু আগের ঘটনা সব তবে ছিলো কি ফিকে?
চারপাশ খুঁজে ফের চলে এলাম নিজ কক্ষে।
যা দেখলাম ছিলাম না প্রস্তুত,
এ কি! এ কি দেখলাম আমি নিজ চোক্ষে?!
খাটের উপরে ঘুমন্ত আমিই আছি শুয়ে।
হাতে একটা চিরকুট ছিলো,
কি ছিলো লিখা দেখতে খুললাম গিয়ে।
ও মা! এতো আমারই হাতে লিখা,
“এ জনমে পাইনি তোমায়, পরজনমে হইও আমার।
অভাগার জীবন হইলো অপূর্ণ যার অভাবে,
তার জন্য হলেও যেন পুনর্জন্ম হয় আবার।”

মনে পড়লো, গত রাত তো ছিলো তোমার স্বপ্নের বাসর।
এই আমি সে আনন্দে মেতেছিলাম নিজ হাতেই বানিয়ে মৃত্যুর আসর।
ভালো থেকো বাকিটা জীবন,
এ জনমে কভু দেখা হবে না আমার সনে তোমার।
বেঁচে থাকতে দেখলেই না যদি আমার হাহাকার।
ধর্মের নিষেধ, পরিবারের আশা আর দুনিয়ার ছিলো যতো মোহ-মায়া।
ছেড়ে এসেছি আজ তোমার জন্য,
যেন সহ্য করতে না হয় তোমার পাশে অন্যের ছায়া।

তোমার তো প্রজাপতি পছন্দ ছিলো তাই না?
তোমার জানালা দিয়ে আসা প্রজাপতিটার যত্ন নিও তুমি,
কারণ তোমার যত্নের অভাব সহ্য করার ক্ষমতা কোন জনমেও রাখি না আমি।

কবিতা: পুনর্জন্ম 

- খোবায়েব হুসাইন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন