দৈহিক মৃত্যুর অপেক্ষা
আত্মার আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে মানুষ মরে যায়।
এরপর দেহটা শুধু শ্বাস নেয়,
নিজের আত্মার লাশ নিজের কাধে নিয়ে ঘুরবার শক্তি জোগাতে।
লাশ কাধে সে অপেক্ষা করে একটা সুন্দর দৈহিক মৃত্যুর।
নিজেকে কূপে ফেলা
যে প্রেমের সূচনা হয়,
পেতে হবে এই লোভে ভালোবাসি নি।
সে প্রেমেও আমরা অনন্ত মায়াতে বাঁধা পড়ে যাই,
প্রেমিকাকে পেতে হবে, এই বাসনা লালন করি।
এরপর প্রেমিকাকে না পেলে তাকে দোষারোপও করি।
যেখানে নিজের সমস্ত বেদনা, ধ্বংসের দায়ভার নিজেরই,
জেনে-বুঝে নিজেকে কূপে ফেলার দায় নিজেরই।
জীবন সুন্দর
যা চেয়েছিলাম তা পাই নি, কি এক শূন্যতা।
যা পেয়েছি তা চাই নি, এখানেও ভিন্নতা।
সজোরে চোখের পাপড়ি বন্ধ করি,
যেন শেষ জলের ফোঁটাটাও তারাতাড়ি বেরিয়ে যায়।
এরপর হেসে হেসে বলি, জীবন সুন্দর।
আকাশের মেঘ
তোমার ডাকে সারা দেবার পূর্বে ভুলে গিয়েছিলাম,
আকাশে অবস্থানরত মেঘের জন্যে মোনাজাতও হয়,
কিন্তু বৃষ্টি হয়ে ঝরে গেলে আলাদা মূল্য থাকে না।
কেউ যত্নে নিজের কাছে রেখে দেয় না,
যতোটা যত্ন করে ডেকে নিয়ে আসা হয়।
দীর্ঘশ্বাস
তারপর আমি নিরবতাকে বেছে নিলাম,
স্বার্থপর হিসেবেও পরিচিতি পেলাম।
আমার মাঝে পাওয়া গেলো অজস্র ত্রুটি!
যা আমি করেছি সে ত্রুটিও পাওয়া গেলো,
পাওয়া গেলো সেগুলোও যা আমি করি নি।
তখনও জবাব দেওয়ার মতো কিছু ছিলো না,
শুধু ছিলো দায় বহন করার মতো দীর্ঘশ্বাস।
অনুভব
মনের কতোটা জুড়ে তাদের বসবাস,
মস্তিষ্কের কতোটা তাদের দখলে,
তাদের সাক্ষাৎ কেমন শুভ্র প্রহর নিয়ে আসে।
কিছু মানুষ কখনো জানবে না,
তাদের প্রতি আমাদের কতোটা অনুভব।
বহুরূপী
কতো সুন্দর এ ভুবন, কতো সুন্দর সব সৃষ্টি।
তবুও এখানকার মানুষেরা উপকারী স্বভাব দেখায়,
আবার আড়ালে অন্যকে ঠকায় চুপিচুপি।
শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি,
এখানকার সব মানুষেরাই বহুরূপী।
অস্থিরতার বাহক
অস্থির মন যার সঙ্গ পেলে স্বস্তি পায়,
যাকে অনুভব করলে স্থির হয়।
সে মানুষই স্বেচ্ছায় সঙ্গহীন রাখে,
সে মানুষই মূলত অস্থিরতার বাহক।
ভুল যেন না ভাঙে
আমাকে ভুল বুঝে যে চলে গেলো,
তার ভুল যেন কখনো কোনভাবে না ভাঙে।
যদি কখনো তার ভুল ভেঙে যায়,
সে চিনে যাবে আমাকে, চিনে যাবে আমার ভেতরটা।
বুঝে যাবে কতোটা চেয়েছিলাম, কতোটা ভালোবেসেছিলাম।
হয়তো আমাকে ঠকানোর দায়ে তার অনুশোচনা হবে,
নিজের উপর ঘৃণার জন্ম হবে।
আর আমি চাই না,
যাকে আমি ভালোবাসি, তাকেও কেউ ঘৃণা করুক।
অধঃযাত্রার মূল
যদি ভালোবাসা মানুষকে সতেজ রাখে,
যদি প্রেম মানুষকে বাঁচতে শিখায়,
যদি সঙ্গী হয় ভরসা, অনুপ্রেরণা প্রদানকারী।
তবে আমি বলতেই পারি,
তোমার অভাব আমাকে অসুখী বানিয়েছে,
তোমার অবহেলা আমার অধঃযাত্রার মূল।