আদর্শ গুটি
খেলো জীবন, যত ইচ্ছে খেলো!
আমিও এবার আদর্শ গুটি হবো।
আমিও দেখবো,
তোমার খেলার দক্ষতা কতদূর!
প্রেমে পড়া
দোহাই, তুমি বিস্মিত আঁখিতে তাকিয়ো না ফের।
আমি দু'হাতে বুকের বা পাশ চেপে ধরে নিজেকে আর কতকাল নিয়ন্ত্রণ করবো?
চোখ বুজে গেলেই তোমার প্রেমে পড়বো গিয়ে জানি।
কথা
হায়, কথার চেয়ে আর সূক্ষ্ম সূচালো কি হয়?
কি আর এমন আছো বলো?
যে কথার চেয়েও বেশি তীব্র হৃদয় ছিঁড়ে যায়?
এমন কিছু কি আছে,
যা কথার চেয়েও বেশি দ্রুত বিষ নিঃসরণ করে?
আবার কথার বিকল্প এমন কিছুও তো নেই,
যার মাধ্যমে ভরসা করা যায়!
তবে কোনপথে এবার অগ্রসর হবো? হে বিবেক!
আমি বর্তমান
তোমাকে ছাড়া আমি শূন্য, আর শূন্য তো অস্তিত্বহীন।
তুমি বরং আমার হয়ে যাও,
ভালোবাসার মন্ত্র পড়ে আমাকে দৃশ্যমান করো।
সুন্দর এই পৃথিবীতে অদৃশ্য শূন্য হয়ে কতদিন আর বাঁচবো?
তুমি আমার হয়ে পৃথিবীতে আমি বর্তমান এমন এক কাব্য লিখে দাও।
শেষ পৃষ্ঠাতে আমিও লিখবো,
এক মানুষে ভালোবেসেও জীবন কাটানো যায়।
জরুরী
বিচ্ছেদের মর্ম বুঝতে ভালোবাসাটা জরুরী ছিলো।
ভালোবাসার ছত্রছায়ায় থেকেই তুমি খুঁজতে থাকলে তোমার ভবিষ্যত।
যেই না খোঁজে পেলে, বেছে নিলে বিচ্ছেদ।
আর আমার কবি হওয়ার জন্যে বিচ্ছেদটাও জরুরী ছিলো।
ভরসার খুঁটি
প্রেম-মিলনের মাঝপথে থাকে আগুনের নদী।
দু'পাশ থেকে সমান ভরসার খুঁটি দিয়ে সেতু বাঁধতে হয়।
তবেই না প্রেমের পূর্ণতা সম্ভব।
কিন্তু যদি কোন খুঁটি হঠাৎ করে হাত ছেড়ে দেয়,
তবে আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিশ্চিত।
তোমার শেষ স্মৃতি
কাছে যাওয়ার সাধ্য আর হলো কি?
তাই দূর থেকেই তোমারে কই।
যে পাথর তুমি বুকের উপর বসিয়ে দূরত্বের আড়ালে গেলে,
আমার কাছে এটাই তোমার শেষ স্মৃতি।
তাই আজও আমি সে পাথরের বোঝা বুকে নিয়ে বই।
দরদ
মানুষ প্রতি মানুষের যে মায়া, ভালোবাসা, দরদ,
এগুলো মূলত বিপরীত মানুষের মনেই জন্ম নেয়।
যার প্রতি দরদ থাকে, মায়া থাকে,
সে দূরে ঠেলে দিলেও দরদ ফুরায় না, মায়া কাটে না।
আর যার প্রতি দরদ থাকে না,
সে যদি আসমানেও তুলে রাখে, তবুও ফিরতি দরদ হয় না।
অতএব তোমার মায়াকান্নার অশ্রুতে কারো দরদ হবে না।
যার দরদ হবে, তোমার ধ্বংসাত্মক আচরণেরও হবে।
আহত আত্মা
একটা আহত আত্মা নিয়ে চলতে থাকা মানুষের চোখে তাকিয়ে দেখো না।
বরং তোমরা তার হাসিটাই খেয়াল করো শুধু।
যে হাসির রেশে সর্বক্ষণ বেদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে।
অথচ তার বিষ নেই বলেই বেদনা নজরে ধরা যায় না।
সন্দেহ
আহ্! সন্দেহেও কতোটা ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়।
তারা যদি সন্দেহের ভাষা পড়তে পারতো!
তবে জীবনটাই সে মানুষকে উৎসর্গ করে দিতো,
যে মানুষ তাকে সন্দেহ করে।
শুধু এই অন্তহীন ভালোবাসার উপহার হিসেবে।