কোন সত্য-মূর্তির উদর বিদীর্ণ করে আসিয়াছো, হে বীর!
না জানি কোন ধাত্রী, কোন মহাকালের পুণ্য-সংকল্পে লালন করিয়াছেন এমন এক হাদীর।
যখন অবিচারের কালস্রোতে ভাসিবে দেশমাতা,
যখন রাক্ষসেরা জল শুষিয়া লইবে নদীর।
তখন আবার তোমাকেই প্রয়োজিত হইবে, হে হাদী!
যে উচ্চারণ করিবে,
“যেখানেই অন্যায় দেখিবে, দাও, দাও!
হে অগ্নি, রক্তমুখর তরুণ সমাজ!
দাও আবার সত্যের অগ্নিতাকবীর।”
তোমার বলিষ্ঠ কন্ঠের বজ্রউক্তিতে যে নিঃশ্বাস নির্গত হয়,
দেশমাতা তাহাই বুকে ভরিয়া নেন আপন শ্বাসে।
যখন দেশ কান্নায় মাতিয়া যায় হাদীদের অভাব-আহাজারিতে,
তখন শকুনেরা দেশ ছিঁড়িয়া খাইতে পারিবে ভাবিয়া হাসে।
অথচ ওরা আজও বুঝিয়া উঠিতে পারে নাই,
সমগ্র দেশটাই উসমান হাদীদের আতুরঘর।
হাদীরা পতাকা মোড়ানো দেহে জন্মায়।
জন্মেই বলে, আগে আমার দেশ।
নচেৎ কাপুরুষ, নিজ গলায় পতাকা পেঁচিয়ে মর।