সম্পর্কের আয়ুষ্কাল

সম্পর্কের আয়ুষ্কাল


আমি চাই যুগ হতে যুগান্তরে তোমার আমাকে প্রয়োজন হোক,
যুগ যুগ ধরে আমার প্রতি তোমার প্রত্যাশা থাকুক।
কারন আমি জানি,
সম্পর্কের আয়ুষ্কাল প্রয়োজনের আয়ুষ্কালের সমানুপাতিক।



কাফন


যে মানুষ পুরোটা জীবন কাটায় অন্যের মনোযোগের আশায়,
তবুও মানুষের মন জয় করতে পারে না!
সে মানুষই কাফনে জড়িয়ে গেলে এত মনোযোগ পায় কীভাবে?
আচ্ছা, কাফন গায়ে কি মানুষকে বেশি আকর্ষণীয় লাগে?



প্রথম আচরণ


মানুষের প্রথম সাক্ষাতের আচরণটাই মুখ্য!
এখানেই প্রমাণিত হয়ে যায়,
তার সাথে বাকিটা সম্পর্ক কেমন হবে।



মধ্যবিত্তের জীবন


মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মাই।
পরিবারের জন্যে স্বপ্ন ভাঙি,
বিক্রি করে দেই স্কুলের রোল নম্বর!
এরপর নেমে পড়ি যুদ্ধে,
যে যুদ্ধে মিলবে টাকা!
যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখি,
আমার পরিবারটাই আর নেই।



দায়হীন


তুমি যেতে চাও, তবে যাও!
তোমার প্রতি আমি কোন দাবি রাখবো না।
তোমাকে আমি ততোটাই দায়হীন করে বিদায় দিবো।
যেমন উদর থেকে মৃত জন্ম নেওয়া পুত্রের উপরও বৃদ্ধ মায়ের ভরনপোষণের দায়ভার থাকে না।



প্রেম সাগরে ফেঁসে যাওয়া


তুমি আমার জন্মান্তরের কাঙ্ক্ষিত এক প্রেম সত্তা।
যে তার বুকে রাখে সুপ্ত প্রেম সাগর।
আমি এক অদক্ষ নাবিক!
গভীরতা না বুঝেই নষ্ট কম্পাস নিয়ে নেমে গেছি সেখানে।
এবার আমি আর কোন দিকই খোঁজে পাচ্ছি না।
কোনদিকে ভিড়লে আমি একটু স্বস্তির কিনারা খোঁজে পাবো!
আমি ভয়ংকরভাবে ফেঁসে গেছি তোমার প্রেম সাগরে।



গন্তব্য মাটিই


পা টিপে টিপে পুরো পথ হেঁটেছো খোবায়েব।
মাটি লেগে যাবে ভয়ে পায়ে দিয়েছো কতো জুতো,
তোমার গায়ে ছিলো কতো রঙিন পোশাক।
স্বার্থের নেশায় ছিলো তোমার কতো বিদ্রোহ সেদিন!
গন্তব্যের সামনে দাঁড়িয়ে আজ কী ভাবছো পথিক?
তোমার এতো আয়োজনই ছিলো কেবল —
তিন টুকরো সাদা কাপড় জড়িয়ে মাটির ঘরে ঘুমাবার জন্যে।



অনুভবে রয়ে গেছো


জীবনে আজ কোন আলো নেই,
চোখে তোমার প্রতিবিম্ব ভাসে না আর।
আচ্ছা, তুমি যদি আমার হতে,
তবে কী ঘন অন্ধকারে তুমি পাশে থাকলে তোমাকে না দেখেও অনুভব করতাম না?
তুমি আজও সেভাবেই রয়ে গেছো অনুভবে।



দেখা হবে


শূন্যের দেয়ালে আবদ্ধ করে পূর্ণ হওয়া, ও নারী!
যে আমি ছিলাম তোমার প্রেমে উম্মাদ,
আমিই আবার করেছি তুমি বিনে শূন্যের সাথে বাসর।
অথচ তুমি ভাবছো,
আমার থেকে মুক্তিতে তুমি জিতে গেছো।
তুমি কি জানো না?
যার প্রতি যার মোহাব্বত, তার সাথেই তার হাশর।



মানিব্যাগহীন প্রেমিক


মানিব্যাগ ছিলো না বলে যে যুবক তার বুকপকেটে রাখতো পাঁচ টাকার দু'দুটো কয়েন,
আর তার ঠিক দু'ইঞ্চি ভেতরেই থাকতে তুমি।
তুমি যখন হাঁটতে তার আঙুলের ভাজে নিজের আঙুল রেখে।
যতোটা প্রেম কাব্য রচনা হতো পথে হেঁটে হেঁটে,
কতো অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ হতো এভাবেই।
তোমার প্রেমিকের না সাধ্য ছিলো না,
তবে তোমার পতির মানিব্যাগে কি তোমার চেয়েও পয়সার ভার বেশি?

إرسال تعليق

أحدث أقدم