সফলতা
পৃথিবীর অধিকাংশই ব্যর্থ মানুষ,
তবুও এই পৃথিবীরটা ব্যর্থদের জন্য নয়।
মানুষ জন্মসূত্রে সফলদের চাটুকার।
যখন কোন ব্যক্তি সফল দেয়,
তখন সমাজ তার পেছনে বাদ্যযন্ত্র বাজায়,
তার অতীতের দুঃখ খোঁজে।
যদি তার জীবনে এমন কোন দুঃখ না থাকে,
তবে খোঁজে বের করে বাল্যকালের সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনা।
এগুলোই পরবর্তীতে প্রণোদনামূলক গল্প।
অতএব তোমার ব্যক্তিত্বের চেয়ে সফলতা গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা আমাদের
একদিন তুমুল ঝড়ে যদি আমার ঘর উড়ে যায়,
তুমি আমার ঘর হয়ে যেও।
আমাকে তোমার বুকে দিও আশ্রয়।
তোমার আঁচলে বড্ড শক্ত করে বেঁধে রেখো,
যেন কোন ঝড়, কোন প্লাবন আমাকে ভাসিয়ে না নেয়।
আমাকে তুমি এতোটুকু নিশ্চয়তা দিও,
তুমি আমার, আমি তোমার আর আমরা আমাদের।
জীবনের সৌন্দর্য
জীবন মুচকি হাসির মতো সুন্দর।
যখন তোমাকে কেউ আঘাতে দুমড়ে দিয়েছে,
অথচ তুমি হাসছো, দিব্যি হাসছো।
এ দৃশ্য যতোটা সুন্দর,
অপ্রাপ্তির দহন নিয়েও জীবন ততোটাই সুন্দর।
সাক্ষাতের অপেক্ষা
তোমার দেখা আবার পাবো কি না, জানে কোন জনে?
তোমাকে দেখি না বহুকাল, তোমার স্মৃতিরা মগজ খায়।
তোমার তল্লাশিতে দেহ রেখেই রুহ পালিয়ে বেড়ায়,
খুঁজতে গিয়ে দেখি তাকে তোমার প্রাঙ্গণে।
তুমি কি জানো?
তোমার সাক্ষাতের অপেক্ষায় কতোটা পুড়ছি?
তোমাকে দেখার কতোটা আকাঙ্ক্ষাই না আমার মনে।
ত্রুটিমুক্ত জীবন
যে প্রস্থান তোমাকে আরও যত্নশীল কারো হওয়ার খোরাক জোগায়,
যে হারিয়ে যাওয়া তোমার জন্যে সুখের,
আমি যেন তার চেয়েও দূরত্বে কোথাও মিশে যাই।
জোরপূর্বক হলেও খোদা যেন আমাকে সরিয়ে নেন,
তোমার জীবন হোক আমি নামক ত্রুটিমুক্ত।
তোর নাম
বুঝি নি, জ্বালানীর বড্ড অভাব ছিলো তোর।
তাই তো পোড়াবার পায়তারায় যত্ন দেখিয়েছিলি,
ঢেলেছিলি বৃক্ষমূলে আদর-যত্নের জল,
নিয়ে এসেছিলি বৃক্ষের জীবনে প্রেমের পয়গাম।
পুড়ানোর যোগ্য হতেই কেটে দিলি মূল।
বৃক্ষের আজ সুখ নেই, নেই আহার-নিদ্রা,
দিনরাত মুখে শুধু তোর নাম।
হারিয়ে যাওয়া প্রেম
দুমুঠো ভাত, সংসারের জুয়ায় বিলীন হবে জীবন।
আমাদের প্রেম মরে যাবে বহুদিন।
খানিক পরে যখন সত্তরোত্তীর্ণ হবে দেহের বয়স,
হয়তো লম্বা অবসরে মনে পড়বে,
নিয়তির লিখনে হারিয়ে গিয়েছিলো আমার সহস্র বছরের প্রেম।
আত্মার শত্রু
আত্মার সাথে মিশে থাকে যারা,
যাদের আমরা আত্মীয় বলে চিনি।
মিত্র ভেবে আত্মা যাদের সঙ্গ চায়,
তাদের আচরণই আত্মাকে গলাটিপে মারে।