কবিতাঃ মনুষ্যের ব্যবধান

আপন সুখ ভুলিয়া অন্যতে মনোনিবেশ করিয়াছে যে জন,
অবসান লগ্নে তাহারাই হইয়াছে ব্যর্থ,
পিছে রইয়াছে সেই বোকা মানবগণ,
পৌঁছাইতে পারিল না তাহারা চিরপ্রত্যাশিত বৃন্দাবন।

মনুষ্যের ভিড়ে একটি জাত আজও রহিয়াছে,
যাহাদের রহিয়াছে ব্যাপক লালসা, হইতেই হইবে সফল।
যদিও বা এতে অন্যের ঘাড়ে রাখিতে হয় পা,
অথবা করিলে করিতে হয় অন্যের বিশ্বাসের কতল।

এ জাতের মানবেরা সদা পরের সুখে নিবিষ্ট জনে ব্যবহার করিয়া যায়,
আর সেই বোকা হৃদয়ের মানব শ্রেণি কিছুই বুঝিতে নাহি পায়।
চালাকেরা সাজে তাহাদের পরিজন,
স্বার্থশেষে ঠেলিয়া দেয় দূরে, বানাইয়া দেয় তাহাদের নির্জন।

তবুও বোকা মানবেরা যদি পুনঃ একবার সুযোগ তবে পায়,
আবার আপন আত্মা উৎসর্গ করে চালাকদের তরে।
কি আর করিবে তাহারা?
নরম হৃদয় লইয়া থাকিতেই হইয়াছে বাধ্য,
পড়িয়াছে বেকায়দায়, হইয়াছে নিরুপায়।

এই সুযোগ পাইয়াই চালাকেরা তাহাদের বারংবার ব্যবহার করিয়া যায়,
আর বোকা শ্রেণির মানবেরা তাহা জানিলেও বিশ্বাস করিতে নাহি চায়,
নাহি মানিতে চায়।

মনুষ্যের এ ব্যবধান, বোকামি ও চাতুর্যের সমান্তরাল ধারা,
আদি হইতে বহিয়া আসিতেছে নিরবধি জানি,
এর যেন শেষ নাই।
এবং চলিয়াও যাইবে অনন্তকাল,
যতদিন পৃথিবীর বুকে শ্বাস বহিয়া যায়,
ততদিন রহিবে তাই।

- মনুষ্যের ব্যবধান

إرسال تعليق

أحدث أقدم